ভগবান ইউল (Yule), ভগবান জোল (Jól) এবং জোলের (Jöl) দেবতা

ভগবান জোল। …এবং ভগবান -জোলনির / জোলফদর

এখন, এটি কিছুটা অর্থহীন  পূরনাবৃত্তি ,কারণ আমরা দেখতে পাই যে জোলন (Jóln) শব্দটি নিজেই দেবতাদের অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

যদি অনুমান করা হয় যে জোলন বা জোল শব্দের জন্য একটি অনুমানভিত্তিক প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপীয় বুৎপত্তি (PIE:*Yek)) সঠিক – যার অর্থ উচ্চারণ করা, বা একটি প্রদর্শনী প্রদর্শন করা… তাহলে এটি দেবতা শব্দের অন্তত একটি ব্যুৎপত্তির সাথে একটি আকর্ষণীয় সাদৃশ্য তৈরি করবে – যার অর্থ  ”যাকে আহ্বান করা হয়” (PIE *ǵʰewH)।

জোলন কীভাবে জোল (Jól) এর সাথে সম্পর্কিত ? কারণ  জোলে দেবতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় ভোজে অংশগ্রহন করার জন্য।

আমরা এটি এভিডিন্ডর ফিনসন স্কাল্ডাস্পিলির লেখা হালেইগ্যাতালের কবিতায় প্রমাণ হিসেবে পাই –

Jólna sumbl
enn vér gôtum
stillis lof
sem steinabrú.

”জোলনার ভোজ আমরা গাইতাম শাসকের প্রশংসা,পাথরের সেতুর মতো স্থির”।

এটি একটি চমকপ্রদ শ্লোক। প্রথম দুটি শব্দ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ – ‘ সুম্বল ‘,যা ভোজন এবং পারস্পরিক সম্পর্কের জন্য আচারবদ্ধ একত্রিত হওয়া (একটি ভোজ বা ‘ ভোজনসভা ‘ ); এবং ‘ জোলনা ‘ – ‘জোলন’ সম্পর্কিত।

শ্লোকটির প্রকৃত প্রেক্ষাপট একটি তেরো-অংশের কবিতা, যা রক্তপাত, ওডিনীয় প্রাসঙ্গিকতা  এবং পূর্ববর্তী পবিত্র ভোজ রীতির প্রায়ই স্মরণে পূর্ণ। হোয়েলি (Whaley) অনুবাদে ধারণা করা হয়েছে যে এখানে ‘দেবতাদের ভোজ’ (Feast of the Gods) আসলে কবিতার শোকগাথা – এবং এটা গ্রহণযোগ্য। তবে ফলকসের (Faulkes) উপস্থাপনার পরিবর্তে ধারণা করে যে এখানে উদ্দেশ্য হচ্ছে বিখ্যাত কবিতার মদ (Mead of Poetry)।

নিশ্চিতভাবে, উভয়ই সম্ভবত সত্যি হতেই পারে – এবং একসঙ্গে সম্ভবও। প্রকৃতপক্ষে, হালেইগ্যাতালের (Háleygjatal) প্রারম্ভিক শ্লোকের দিকে লক্ষ্য করলে: এটি যথেষ্ট সম্ভাব্য মনে হওয়া উচিত যে একটি অন্যটির সাথে গভীরভাবে জড়িত, এমনকি একসাথে সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত।

আমি এটি গুরুত্ব দিয়েছি কারণ এটি যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত মনে হওয়া উচিত যে এই রীতিটি – জোলনা সুম্বল [‘দেবতাদের ভোজ’] – এটি অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ যা আমরা বৈদিক পরিসরে জানি, যেখানে দেবতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়, তাদের প্রশংসা করা হয়, অতিথি হিসেবে – এবং তাদের শেয়ার দেওয়া হয় সোম, শক্তির সেবনীয় রস; অথবা অন্য কোন খাদ্যসম্ভার যা দৃশ্যত একটি ভোজের মতো পরিবেশন করা হয়।

বছরের এই সময়ে এই কাজটি করা একদম যুক্তিসঙ্গত ।

তাহলে এটি ভাবা লোভনীয় হতে পারে যে,স্লোকটির তৃতীয় লাইনে যে শাসক (রা) এর উল্লেখ করা হয়েছে তারা কেবলমাত্র মানব পৃষ্ঠপোষক যারা এই গানের সূচনা করেছিলেন, অথবা স্বয়ং দেবতারা – অথবা ,যেমন প্রায়ই হয়ে থাকে ,একসাথে উভয়কেই ইঙ্গিতের মাধ্যমে সুপরিকল্পিত ভাবে মিশ্রিত করা।

এবং, আরও, এটি কি সেই ‘পাথরের সেতু’ যা শেষ লাইনে উল্লেখিত, যেমন অন্যরা  করেছে, একটি রূপক প্রতীক … ভাল, এক রূপক আরেকটির উপর স্থাপন করা হয়েছে শ্লোকগুলিতে, যা অতীতে একটি স্থায়ী ‘সেতু’ গঠন করে; অথবা আরও, প্রেস-স্টোন ব্যবহার করে মদ প্রস্তুত করার (যেমন আমার কাজে  দেখিয়েছে যে হ্নিতবর্জ  মিথ বেদের প্রেস-স্টোনগুলির সাথে সম্পর্কিত যা সোম উৎপাদন রীতিতে ব্যবহৃত হয়) এবং সেইজন্য শ্লোকগুলি এবং বলিদান দ্বারা দেবতার সংযোগ, এটি একটি গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা হতে পারে।

দেবতা জোল হল ‘ভাল জোল’, যেখানে ‘জোল’টি একটি আহ্বান, দেবতাদের জন্য একটি আচারিক উদযাপন। অর্থাৎ, ‘আহ্বানকৃত – ডাকা হয়েছে, প্রদান করা হয়েছে (অপ্রদানিত)’।

এটা ঘটে, এটি বেশ সঠিকভাবে ‘দেবতা’র অর্থ – এর দুটি PIE সম্ভাব্য উৎপত্তির মধ্যে: *ǵʰewH, যা আমরা ইতিমধ্যে পরিচিত, ‘যাকে আহ্বান করা হয়’ বা ডাকা হয়; এবং *ǵʰew – ‘যার প্রতি শদ্ধা নিবেদন করা হয়’।

এটির আরও আকর্ষণীয় প্রভাব রয়েছে।

অতএব, এটি আমাদেরকে সম্ভবত বেদীয় সংস্কৃতির ‘বৃহস্পতি’র মতোভাবে জোলফোদরকে বিবেচনা করতে – প্রার্থনার পবিত্র ভাষণের ‘প্রভু / পিতা’ (যেমন গ্যালড্রাফোদর / Galdrs föður)। আমরা বলতে পারি, একটি  ‘আচারের  পিতা’।

এবং জোলনিরও একই অর্থে – ‘জোলের একরূপ’ – যেমনভাবে অগ্নিকে বেদীয় পরিভাষায় যজ্ঞের মৌলিক সারবস্তুরূপে দেখা হয়।

আমরা ইতিমধ্যে অন্য কোথাও অনেক সময় ধরে বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যালোচনা করেছি, যা প্রমাণ করে যে ওডিন এবং বৃহস্পতি / অগ্নি ‘একই ইন্দো-ইউরোপীয় দেবতায়’ ভিত্তি করে, যদি আপনি বলতে চান, অনেক রূপকথা, চিত্রকলা, এবং ধর্মতাত্ত্বিক পয়েন্টের মাধ্যমে যা এই মিলের প্রমাণ দেয়।

ওহ, আর একটি শেষ কথা:

এটি কিছুটা অদ্ভুত মনে হতে পারে যে, একজন চরিত্র যিনি স্পষ্টভাবে ওডিনের সঙ্গীতের সাথে সম্পর্কিত, একটি তলোয়ার ধারণ করছেন।

কিন্তু তা নয়।

আমরা এলিফ্র গোদ্রুনারসনের (Eilífr Goðrúnarson) থরের কাব্য -তে ‘জোলনির শিখা’ বিভিন্ন বার উল্লেখিত দেখি, যা ‘তলোয়ার’ এর একটি  তত্ত্ব (Kenning ) হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি ভালোভাবেই মিল খায়ে অন্য স্থানে ওডিনীয় তলোয়ার সম্পর্কিত কেনিংগুলির সাথে, যা তাঁর নাম এবং অগ্নির ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি।

তাহলে – আরও একবার:

ভগবান জোল!

এবং সেই দেবতাকে শ্লাঘা যিনি দেবতা জোল (নির)।

ॐ नमः शिवाय

[The above is a Bengali-language translation for a seasonally pertinent work of ours – ‘Good Yule, God Jól, and the God of Jöl‘.

We are indebted to Keya Pakhira for the translation effort – which entailed parsing not only my sometimes somewhat idiomatic if not occasionally outright recondite style of English … but elements from Old Norse, Sanskrit, and reconstructed Proto-Indo-European into the bargain. (And, as per usual, to N. Mukhopādhyāyaḥ for his arrangement and overseeing of the undertaking)

Now as for why this was felt to be something worth pursuing … the salient word for our field is “Indo-European” (or, as an associate had once observed, given the weight of living tradition involved, one might just as well call it “Euro-Indian”).

English may indeed be ‘lingua franca’ the world over (and an official language of the Republic of India), but that is no reason for the conceptry and the understandings which we have been seeking to illuminate to remain only accessible through that particular European (or, in my case, I suppose – Antipodean) tongue.

Indeed – quite the contrary. We are very much of the opinion that as the Indian sphere of languages and their speakers are such a significant body within the broader Indo-European milieu (and yes, that includes Hindus whose first language is not an Indo-Aryan one – I said “Indian sphere of languages and their speakers” quite intentionally) … that it would seem almost churlish NOT to at least attempt to have our efforts made available in various of those languages as we can.

We have earlier managed to occasionally secure Hindi translations for some of our works – given the depth of our engagement to Bengal and the manifold benefits we have been in receipt of via same, it is very pleasing indeed to begin to be able to make Arya Akasha (A)Arti-cles available in the language of that culture, now, as well.]

[-C.A.R.]

Leave a comment